বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া কূটনীতিক সম্পর্কের কেক কেটে উদযাপন

বাপ্পী কুমার দাস, মালয়েশিয়া

বাংলাদেশের ৫১ তম স্বাধীনতা দিবস ও মালয়েশিয়ার সাথে কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসে হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার।

দুই দেশের ভালো সম্পর্কে আরো শক্তি শালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া। ৩০ মার্চ বুধবার কুয়ালালামপুর জেডব্লিউ মেরিয়ট হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ হাইকমিশন কতৃক আয়োজিত মাহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও ৫০ বছরের কূটনীতিক সম্পর্কের উদযাপন করল।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়ার অনুষ্ঠানে কেক কাটা বাংলাদেশী ও মালয়েশিয়া শিল্পদের মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে প্রাধন অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার সিনিয়র মিনিষ্টার (ওয়ার্কার্স) দাতুক সেরি ফাদিল্লাহ ইউসুফ।

তিনি তার বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার খুব ভালো বন্ধু রাষ্ট্র, বাংলাদেশের সাথে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সম্পর্ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান ১৮ কোটি বাংলাদেশী নাগরিকে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খান তার বক্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কন্নয়ন অনুষ্ঠানে ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরেন। দুই দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক দিনে দিনে খুব শক্তি শালী হচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বক্তব্য বলেন প্রাধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে গড়ে তুলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী তার বক্তব্য বলেন বর্তমানে মালয়েশিয়া ২৮ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী ভ্রমণ করতে আসে ও বাংলাদেশী কর্মীরা তাদের মেধা পরিশ্রম দিয়ে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এর হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্য বলেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আমাদের জন্য কূটনীতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আগামীতেও মালয়েশিয়া বাংলাদেশর উন্নয়ন এর পাশে সব সময় থাকবে বলে আশা করেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার উজ জামান,আইজিপি বেনজির আহমেদ, বাংলাদেশ হাইকমিশন এর কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দেশের দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা বৃন্দ।